সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ, চট্টগ্রাম

জ্ঞানই আলো।

সময়ের সাথে গড়ে ওঠা একটি ঐতিহ্য

আমাদের শিকড় এবং উৎকর্ষতার ভিত্তি তুলে ধরা।

চট্টগ্রাম বাংলাদেশের ভৌগোলিক প্রবেশ দ্বার। সুপ্রাচীনকাল থেকেই এদেশের প্রাকৃতিক সম্পদের আহরণে বা লোভে আরবিয়, পর্তুগিজ, ওলন্দাজ, ফরাসি ও ইংরেজসহ ভিনদেশি বণিকের সমাগমে মুখরিত ছিল বন্দর শহর চট্টগ্রাম। এতে এই অঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যাপক প্রসার ঘটে ও মানুষের আর্থিক উন্নতিও হয়। কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অপ্রতুলতার কারণে এখানকার মানুষ জ্ঞানচর্চার ক্ষেত্রে বেশ পিছিয়ে ছিল। এই অভাব সম্পূরণে অনেক প্রাগ্রসর চিন্তক, ভাবুক ও মানবিক মানুষ এগিয়ে এসেছেন। এসেছে কিছু দাতাসংস্থা। এদের মধ্যে পরহিতৈষী দানবীর হাজী মুহাম্মদ মহসিনের রেখে যাওয়া ‘মহসিন ফান্ড’ এর ভ‚মিকা সবিশেষ উল্লেখযোগ্য। এই ফান্ডের অর্থায়নে ত্রিশ একর জায়গায় নির্মিত কালের অমর স্বাক্ষী হয়ে আছে আজকের এই সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ, চট্টগ্রাম।

পরিচিতি

১৮৭৪ সালের ২০ জুলাই মহসিন ফান্ডের সহায়তায় ‘চট্টগ্রাম মাদরাসা’ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজের যাত্রা শুরু হয়। সময়ের সাথে এটি উচ্চ মাদ্রাসা থেকে ‘ইসলামিক ইন্টারমিডিয়েট কলেজ’ (১৯২৭) এবং পরবর্তীতে সাধারণ শিক্ষার প্রতিষ্ঠানে রূপ নেয়। ১৯৭০ সালে বিজ্ঞান বিভাগ চালু হয় এবং ১৯৭৮ সালে এটি সর্বধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। অবশেষে, ১৯৭৯ সালে আই.আই. কলেজ ও সরকারি উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ একীভূত হয়ে সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ নামে পুনর্গঠিত হয়। আজ, এটি শিক্ষা ও গবেষণার এক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র, যেখানে অসংখ্য শিক্ষার্থী তাদের ভবিষ্যৎ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছে।

প্রাথমিক সূচনা

আজ, সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ শিক্ষা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে চট্টগ্রামের অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত। ১৯৯৫, ২০০১ ও ২০০৪ সালে জাতীয় শ্রেষ্ঠ কলেজ হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া এই কলেজ একাডেমিক উৎকর্ষতা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে প্রতিনিয়ত সাফল্য অর্জন করছে। কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শ্রেণির পাঠদান কার্যক্রম চলছে, এবং প্রায় ১৪,০০০ ছাত্রছাত্রীকে ৮৫ জন অভিজ্ঞ শিক্ষক শিক্ষাদান করছেন। এখানে নিয়মিত সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় ও সহপাঠ্য কার্যক্রম আয়োজন করা হয়। প্রায় দেড় শতাব্দী ধরে কলেজটি দেশের শিক্ষার উন্নয়ন এবং সমাজের অগ্রগতিতে অবদান রেখে আসছে। বর্তমান প্রশাসন কলেজের সার্বিক উন্নতির জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, এবং ভবিষ্যতের নেতৃত্ব গড়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।

ঐতিহ্য এবং ভবিষ্যৎ

সম্প্রতি এবং ভবিষ্যৎ

আমাদের যাত্রা শুরু হয়েছিল একটি স্বপ্ন নিয়ে—একটি এমন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা যা শুধু শিক্ষিত করবে না, বরং অনুপ্রাণিতও করবে।

১৮৭৪

সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা স্নাতক হন।

১৮৭৯

সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ থেকে প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা স্নাতক হন।

২০০০

স্বাধীন লাইব্রেরি এবং কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করা।

শ্রেষ্ঠত্বের গল্প

আমাদের সম্প্রদায়ের অর্জন যা প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে।

ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রাক্তন ছাত্র

আমাদের প্রাক্তন ছাত্ররা ব্যবসা এবং প্রযুক্তি থেকে শিল্পকলা এবং সম্প্রদায় পরিষেবা পর্যন্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন করেছে। তারা উদ্দেশ্য নিয়ে নেতৃত্ব দেয়, তাদের শিল্প ও সমাজে অর্থপূর্ণ অবদান রাখে।

একাডেমিক অর্জন

আমাদের শিক্ষার্থীরা একাডেমিক শ্রেষ্ঠত্বে ধারাবাহিকভাবে মানদণ্ড নির্ধারণ করে, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় শীর্ষ সম্মান এবং পুরস্কার অর্জন করে।

সম্প্রদায়ের প্রভাব

বিভিন্ন আউটরিচ প্রোগ্রাম এবং উদ্যোগের মাধ্যমে, আমাদের ছাত্র এবং শিক্ষকরা সম্প্রদায়ের জন্য দীর্ঘস্থায়ী অবদান রেখেছে, বৃদ্ধি এবং ইতিবাচক পরিবর্তনকে উৎসাহিত করেছে।